কালার থিয়োরী বা রং তত্ত্ব হলো রং ব্যবহারের কৌশল বা বিজ্ঞান। মূলত কোনো রঙের সাথে অন্য কোন কোন রং ব্যবহার করলে তা দেখতে সুন্দর লাগবে এটা বোঝার উপায়কেই কালার থিয়োরি বা রং তত্ত্ব বলে। আর কোন রং মানুষের মনে কোন ধরণের আবেগ ও অনুভূতি সৃষ্টি করে এই বিষয় গুলোকে কালার সাইকোলজি বলে।

প্রাইমারি কালার

পৃথিবীতে অনেক রং রয়েছে যার মধ্যে লাল, নীল ও হলুদ এই তিনটি রঙকে বলা হয় প্রাইমারি কালার বা প্রাথমিক রঙ। এই রং গুলো অন্য কোনো রঙের সংমিশ্রনে তৈরি করা যায় না তবে এই তিনটি রং দিয়ে অন্য সব রং তৈরি করা যায়।

সেকেন্ডারি কালার

প্রাথমিক রং তিনটি থেকে দুটি করে রং একসাথে মেশালে যে রং গুলো পাওয়া যায় তাদেরকে সেকেন্ডারি কালার বলা হয়। সেকেন্ডারি কালার ও তিনটি; কমলা, সবুজ ও বেগুনি (লাল + নীল ) যেখানে কমলা রং তৈরী হয় লাল ও হলুদ এর সমান মিশ্রনে, সবুজ তৈরী হয় নীল ও হলুদ এর সমান মিশ্রনে এবং বেগুনি তৈরী হয় লাল ও নীল রঙের সমান মিশ্রনে।

টারশিয়ারি কালার

প্রাইমারি কালার থেকে একটি এবং  সেকেন্ডারি কালার থেকে একটি রং নিয়ে সমান ভাবে মিশ্রণ করলে যে ছয়টি রং পাওয়া যায় তাদেরকে টারশিয়ারি কালার বলা হয়।

কালার হুইল

কালার হুইল হলো একটি বৃত্ত যার মধ্যে প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি, মোট বারো টি রং নির্দিষ্ট ক্রমে সাজানো থাকে। এই ক্রমটি একটি রংধনুতে থাকা রঙের ক্রমের অনুরূপ। রংধনুর মতোই কালার হুইলেও প্রত্যেকটি রং তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী রঙের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে যার ফলে অসংক্ষ নতুন রঙের সৃষ্টি হয়।

হিউ এবং টেম্পারেচার

কালার হুইলের সব রঙ গুলোকে এক একটি হিউ বলা হয়ে। কালার হুইলে লাল থেকে হলুদ পর্যন্ত সকল রংকে ওয়ার্ম কালার বলা হয় এবং সবুজ থেকে বেগুনি রংকে কূল কালার বলা হয়।

শেড

যেকোনো একটি হিউ এর সাথে বিভিন্ন পরিমানে কালো রং মিশ্রণ করলে যে সব রং পাওয়া যাবে তাদেরকে ওই হিউ বা রঙের শেড বলা হয়। 

টোন

যেকোনো একটি হিউ এর সাথে বিভিন্ন পরিমানে ধূসর রং মিশ্রণ করলে যে সব রং পাওয়া যাবে তাদেরকে ওই হিউ বা রঙের টোন বলা হয়। 

 টিন্ট

কোনো একটি হিউ এর সাথে বিভিন্ন পরিমানে সাদা রং মিশ্রণ করলে যে সব রং পাওয়া যাবে তাদেরকে ওই হিউ বা রঙের টিন্ট বলা হয়। 

মনোক্রোমাটিক কালার:

একটি রঙের বিভিন্ন টিন্ট, টোন ও শেড নিয়ে তৈরী কালার পেলেট কে ওই রঙের মনোক্রোমাটিক কালার পেলেট বলে। 

কমপ্লিমেন্টারি কালার:

কালার হুইলের যেকোনো একটি রঙের ঠিক বিপরীত পাশে থাকা রংকে ওই রঙের কমপ্লিমেন্টারি কালার বলে।